পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জাতীয় পরিচয় পত্রের মায়ের চেয়ে ছেলের বয়স আট বছর বেশি হওয়ায় বেপাকে পড়তে হচ্ছে মা ও ছেলেকে। জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর পেনশনের চিকিৎসা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিদ্যা মাজেদা বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন ঘটনা ঘটেছে ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাটুলিপাড়া গ্রামের বাড়ি মাজেদা খাতুন ও তার ছেলে মাজেদ আলীর সঙ্গে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ছেলের জন্ম তারিখ ১০ আগস্ট ১৯৬৯ সালে লেখা। এদিকে এনআইডি কার্ডে বয়স কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর পেনশনের চিকিৎসা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিদ্যা মাজেদা বেগম। মাজেদা বেগম বলেন, আমার বয়স এখন ৭৪ বছর।
কিন্তু এনআইডি কার্ডে ভুল করে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১৮ অক্টোবর ১৯৭৭ সাল। আমার বয়স কমে এসেছে ৪৬ বছর। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী মোসলেম উদ্দিন রেলওয়েতে চাকরি করতেন। ২০ বছর আগে তিনি মারা যান। স্ত্রী হিসেবে আমি পেনশনের টাকা পাই।
কিন্তু এনআইডি কার্ডে বয়স কম থাকায যে পরিমাণ চিকিৎসা ভাতা আর টাকা পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ছেলে মাজেদ আলী বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রে আমার বয়স মায়ের চেয়েও ৮ বছর বেশি। এই ভুলের কারণে বিরম্বনা পড়তে হচ্ছে আমাদেরকে। এ নিয়ে গ্রামের অনেকেই হাসাহাসি করে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও নাহিদ হাসান বলেন, এ বিষয়ে জানার পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুর রহমানকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
টিএইচ